তীব্র গ্রীষ্মের দিনে চলে যাই দূরে…আরও দূরে।চলে যাই সেগুনবন পেরিয়ে মাদক শালজঙ্গলের হৃদয়কাটা পথে।যাই দক্ষিণে।গর্জনমুড়ার ঘনগুল্ম বন চিনি।এক্সপ্রেসওয়ের পাশে দেখি লেখা আছে ‘তৈনানি।আছে হোলাক্ষেত আপার প্রাইমারি স্কুলের বোর্ড।মনে আসে রতমমণি সাধুর কথা।
বীরচন্দ্র বা শান্তিরবাজারের সান্ধ্য হাট দেখি।
তুমুল গ্রীষ্মে সন্ধ্যা ঘনায়।আলটপকা ঝড়ো বাতাসে পর্ণমোচী বৃক্ষের পাতা ওড়ে।মাঝে মাঝে উপড়ে পড়ে দীর্ঘ কড়ই।নরম শাদা শরীর।
হননের নেশা আসে।মানমন্দিরের নীচে কল্পনার শূন্য ডিগ্রি রেখা কিছু জানে না।মনে হয় কথার কথা না!কিছু মানুষের শূন্য হয়ে গিয়ে জায়গা পরিষ্কার হওয়া সময়ের দাবি।সময় আসল ঘাতক।শিউলির গন্ধে জীবনপ্রেমে সত্য সুন্দর ধরা দেয় না।জীবনের মৌবনে বিষাক্ত গেছো উভয়চর লুপ্ত হোক।
তীক্ষ্ণ পরিকল্পনায় গতি বাড়ে যানের।ফিরি গভীর দক্ষিণ থেকে।ইতিহাস ভাবি।কিন্তু শেষতক ভূগোল আশ্রয়।তালিকা পূর্ণ প্রায়।তিথি নক্ষত্রের অপেক্ষাও নেই।
এমন যাতনার দিনে,অপরিসীম বৈশাখে আসে অবশেষে প্রিয় কর্কটক্রান্তি।কিঞ্চিত বিরিতি নিয়ে ভাবি।ক্ষমা না,প্রতিজ্ঞা দৃঢ় হয়।সামগ্রিক প্লাসের জন্য কিছু মাইনাস জীবনের নিয়ম।
স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েই বারবার এই রেখা থেকে ফিরে আসা।আবার রেখার কাছে যাওয়া…
Leave a Reply